আজ বাংলাদেশে ০৪/০৬/২০২১ স্বর্ণ ও রূপা যাকাতের মূল্য কত? | Gold Price Bangladesh | Vori, Gram, 24K, 22K, 21K - BD Gold Price

আজ বাংলাদেশে ০৪/০৬/২০২১ স্বর্ণ ও রূপা যাকাতের মূল্য কত?


bd gold price

এক নজরে দেখে নিন


আজ বাংলাদেশে ০৪/০৬/২০২১ স্বর্ণ ও রূপা যাকাতের মূল্য কত?

টিপস


গতকালের তুলনায় আজ বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপা যাকাতের দাম কোন পরিবর্তন হয় নি।



ঘরে ব্যবহার্য আসবাবপত্র ও সর্ব প্রকার ঋণ বা দেনা বাদে যার নিকট অন্তত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা এর সম পরিমাণ টাকা পয়সা থাকে বা ব্যবসার মালামাল থাকে তাহলে উহার মূল্যের শতকরা আড়াই (২.৫০%) টাকা যাকাত দিতে হবে।



কারো কাছে যদি ৭.৫ ভরি বা তার থেকে বেশি পরিমান স্বর্ণ অথবা ৫২.৫ ভরি বা তার থেকে বেশি পরিমান রূপা পূর্ণ এক চন্দ্র বছর জমা থাকে, তাহলে তাকে সেটার মোট মূল্যের ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা, শতকরা ২.৫ টাকা (প্রতি ১০০ টাকায় ২.৫ টাকা) হারে যাকাত দিতে হবে।



স্বর্ণের যাকাত কিভাবে হিসাব করতে হবে ?



ক্যারেট প্রতি ভরির মূল্য গ্রামে যাকাত ২.৫% ভরিতে যাকাত ২.৫%
২২ ক্যারেট ৳73,483.20 ৳ 126.00 ৳ 1,469.66
২১ ক্যারেট ৳70,333.92 ৳ 120.60 ৳ 1,406.68
১৮ ক্যারেট ৳61,585.92 ৳ 105.60 ৳ 1,231.72
সনাতন পদ্ধতি ৳51,263.28 ৳ 87.90 ৳ 1,025.27

"২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি গ্রামের মূল্য 6300 টাকা হলে প্রতি ভরি স্বর্ণের মূল্য আসে 73483.2 টাকা। তাহলে গ্রাম প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে, 5040 টাকা। আবার ভরি প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে 58786.56 সুতরাং,গ্রাম প্রতি ২.৫% যাকাত আসে 126 টাকা। এবং ভরি প্রতি ২.৫% যাকাত আসে 1469.664 টাকা।২১ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি গ্রামের মূল্য 6030টাকা হলে প্রতি ভরি স্বর্ণের মূল্য আসে 70333.92টাকা। তাহলে গ্রাম প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে,4824টাকা। আবার ভরি প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে56267.136সুতরাং,গ্রাম প্রতি ২.৫% যাকাত আসে 120.6টাকা। এবং ভরি প্রতি ২.৫% যাকাত আসে1406.6784টাকা।১৮ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি গ্রামের মূল্য 5280টাকা হলে প্রতি ভরি স্বর্ণের মূল্য আসে 61585.92টাকা। তাহলে গ্রাম প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে,4224টাকা। আবার ভরি প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে49268.736সুতরাং,গ্রাম প্রতি ২.৫% যাকাত আসে 105.6টাকা। এবং ভরি প্রতি ২.৫% যাকাত আসে1231.7184টাকা।এছাড়া প্রচলিত সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের প্রতি গ্রামের মূল্য4395টাকা হলে প্রতি ভরি স্বর্ণের মূল্য আসে 51263.28টাকা। তাহলে গ্রাম প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে,3516টাকা। আবার ভরি প্রতি বিশ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য আসে41010.624সুতরাং,গ্রাম প্রতি ২.৫% যাকাত আসে 87.9টাকা। এবং ভরি প্রতি ২.৫% যাকাত আসে1025.2656টাকা।"


পরিমাপ


১ ট্রয় আউন্স = ৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম

১ ভোরি = ১১.৬৬ গ্রাম

১ তোলা = ১ ভোরি

১ ভোরি = ১৬ আনা

১ আনা = ৬ রথী

পরিমাপ


১ রথী= ১০ পয়েন্ট

মূল্য মানের তারিখ অনুসারে বাজার মূল্যের 2.5% হিসাবে যাকাত গণনা করা উচিত ।

শতকরা ২.৫ টাকা (প্রতি ১০০ টাকায় ২.৫ টাকা) হারে যাকাত দিতে হবে।


🌏 ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ


যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং ইবাদতের আমল। যাকাতের অর্থ পবিত্র করাএবং তাই আমাদের নিজস্ব সম্পদ শুদ্ধ করার জন্য সমস্ত মুসলমান তাদের প্রয়োজন অনুসারে সাহায্য করার জন্য একজনের সম্পদের একটি অংশ প্রদান করতে বাধ্য ।


🌏 নিসাব পরিমান স্বর্ণ ও রূপা


নিসাব পরিমান স্বর্ণ ও রূপা, ক্যাশ টাকা পূর্ণ এক বছর না হওয়া পর্যন্ত যাকাত দেওয়া ফরয হবেনা। যেইদিন বছর পূর্ণ হবে সেইদিন যাকাত দেওয়া ফরয হবে ।


🌏 রমযান মাসে যাকাত


রমযান মাসে যাকাত দিতে হবে এমন কোন কথা নেই, যার উপর যেইদিন যাকাত ফরয হবে তখনই যাকাত দিতে হবে। উল্লেখ্য, বছর গণনা করতে হবে চাঁদের হিসাব অনুযায়ী, সৌর বৎসর নয় ।


🌏 আসনাফ (বিভাগ)


যাকাত ৮ টি আসনাফ (বিভাগ) মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। "ফকির" যার কাছে বস্তুগত সম্পদ বা জীবিকা নির্বাহের উপায় নেই।"মিসকিন" মৌলিক চাহিদা মেটাতে এবং জীবন ধারণ করতে অক্ষম সহ একজন ।"আমিল" যাকাত সংগ্রহের জন্য নিযুক্ত একজন। "মুয়ালাফ" যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।"রিকাব" যে নিজেকে দাসত্ব বা দাসত্বের শেকল থেকে মুক্ত করতে চায় । "ফিসাবিলিল্লাহ" যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে লড়াই করে।"ইবনেস সাবিল" যিনি ভ্রমণে আটকে আছেন।


🌏 কত পরিমানের উপরে যাকাত ?


যাকাত পুরো সম্পদের উপরেই দিতে হয়। অনেকে মনে করে নিসাব পরিমানের উপরে যেটা হয়, শুধুমাত্র সেই পরিমানের উপরে যাকাত দিতে হয় এটা ঠিক না ।


স্বর্ণ, রূপা ও নগদ টাকার নিসাব আলাদা আলাদা হিসাব করা হবে, একসাথে করে যাকাত দিতে হবেনা। অর্থাৎ, কারো কাছে ৬ ভরি স্বর্ণ আর ৪৮ তোলা রুপা আছে, তাহলে তাকে দুইটার মূল্য যোগ করে একসাথে নিসাব হিসাব করে যাকাত দিতে হবেনা ।কারণ, দুইটার নিসাব আলাদা, তাদের হিসাবও আলাদা হবে। তবে, স্বর্ণ + টাকা বা রুপা+টাকা মিলে নিসাব বা তার বেশি হলে যাকাত দিতে হবে ।




গয়না উপহার দেওয়া উপর যাকাত



মেয়ে বা মা, বোনদের যদি মালিক করে গয়না উপহার দেওয়া হয়, তাহলে তাদের প্রত্যেকের হিসাব আলাদা হবে। যেমন ধরুন, ৩ বোনের মিলে ৭.৫ ভরি বা তার বেশি ১০/১৫ ভরি স্বর্ণ হয়, কিন্তু এককভাবে কারোরই যদি ৭.৫ ভরি স্বর্ণ না হয়, তাহলে কাউকেই যাকাত দিতে হবেনা। তবে, কেউ যদি নিজের মেয়েদের স্থায়ী মালিক না করে, গয়নাগুলো শুধু ব্যবহার করতে দেয়, তাহলে সবগুলো মিলিয়ে ৭.৫ ভরি বা তার বেশি হলে তার সম্পূর্ণটার উপরে তাকে যাকাত দিতে হবে ।



নিজের মেয়েদের স্থায়ী মালিক না করে কি যাকাত দেওয়া যাবে?



"তবে, কেউ যদি নিজের মেয়েদের স্থায়ী মালিক না করে, গয়নাগুলো শুধু ব্যবহার করতে দেয়, তাহলে সবগুলো মিলিয়ে ৭.৫ ভরি বা তার বেশি হলে তার সম্পূর্ণটার উপরে তাকে যাকাত দিতে হবে ।নারীরা যেই গহনাগুলো ব্যবহার করেন, সেইগুলোর উপরেও যাকাত দিতে হবে।যদিও অনেকে মতভেদ করেছেন তবুও ব্যবহার করা স্বর্ণর যাকাত দিয়ে দেয়া উত্তম। আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন । যার কাছে সাড়ে সাত ভরির বেশী আছে, তিনি আজকের দেখানো মূল্যের সাথে মোট যত ভরি সেটা গুণ করলেই কত টাকা যাকাত দিতে হবে সেটা পেয়ে যাবেন ।"





দৃষ্টি আকর্ষণ:বাংলাদেশে সোনা কেনার জন্য হট টিপস- BD Gold Price

  • নিশ্চিত করুন যে, আপনি যে ধরনের সোনা বা স্বর্ণ (Gold) কিনছেন তা প্রকৃত সোনা বা সরকারি সার্বভৌম গ্যারান্টি দ্বারা সমর্থিত।
  • আপনি যে কোম্পানির সাথে কাজ করছেন তা হেজ বা লিজ দিতে পারে না।.
  • আপনি শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকার Bangladesh Jewelers Association (BAJUS) দ্বারা প্রত্যয়িত সোনা বা স্বর্ণ, গয়না কিনছেন।
  • সবসময় বড় দোকান থেকে সোনা বা স্বর্ণ কেনার চেষ্টা করুন। কারণ হল এই ধরনের দোকানে আকর্ষণীয় ডিজাইনের মানসম্পন্ন হলমার্ক (Gold Hallmark) পণ্য সরবরাহ করা হয়।
  • ভাল দোকান মালিকদের সঙ্গে সোনা বা স্বর্ণ লেনদেন করুন। কেননা তারা সৎ থাকেন।
  • এমন একটি দোকান থেকে সোনা বা স্বর্ণ কেনার চেষ্টা করুন যেটি দীর্ঘদিন ধরে সততার সাথে ব্যবসা করে আসছে। কারণ তারা সৎ এবং লাভ কম করেন।
  • সোনা বা স্বর্ণ (How To Buying Gold) কেনার আগে দাম দেখে নিন। কারণ দাম প্রতিদিন ওঠা-নামা করে। (কিভাবে ভাল সোনা বা স্বর্ণ চিনবেন?)
  • কেনার আগে সোনা বা স্বর্ণ রিটার্ন নীতিটি সাবধানে অনুসরণ করুন বা দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসা করুন। কারণ এটা খুবই জরুরি।
  • হলমার্ক (Gold Hallmark) সংযুক্ত আছে কিনা তা দেখতে সোনার পণ্য কেনার পরে নগদ মেমো চেক করুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • সব সোনা বা স্বর্ণ কেনার মেমো (Money Receipt) খুব সাবধানে সংরক্ষন করুন। এর কারণ হল সোনা বা স্বর্ণ বিক্রি (How To Sell Gold?) করার সময় দোকান মালিক নগদ মেমো ছাড়া ন্যায্য মূল্য ফেরত দিতে পারে না।
বাংলাদেশে সোনার দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন কয়েকটি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
  • গহনার চাহিদা: গহনার চাহিদা বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদার একটি প্রধান চালিকাশক্তি। স্বর্ণের গহনার চাহিদা বাড়লে বাংলাদেশেও সোনার দাম বাড়তে পারে।
  • বিনিয়োগকারীদের মনোভাব: বিনিয়োগকারীদের মনোভাব সোনার দামকেও প্রভাবিত করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা অর্থনীতি এবং বাজার সম্পর্কে আশাবাদী হলে, তারা স্বর্ণে বিনিয়োগ করার সম্ভাবনা কম হতে পারে, যার কারণে এর দাম কমতে পারে। বিপরীতভাবে, বিনিয়োগকারীরা যদি অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে তারা সোনায় বিনিয়োগ করার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে, যার ফলে এর দাম বেড়ে যায়।
  • বৈশ্বিক চাহিদা এবং সরবরাহ: বিশ্বজুড়ে সোনার চাহিদা একটি প্রধান কারণ যা বাংলাদেশে সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের চাহিদা বাড়লে এবং সরবরাহ ঠিক রাখতে না পারলে বাংলাদেশে সোনার দাম বাড়তে পারে।
  • ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা: ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা যেমন যুদ্ধ বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে। অনিশ্চয়তার সময়ে, বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, যার ফলে এর দাম বেড়ে যায়।
  • মুদ্রার ওঠানামা: অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী টাকা (বিডিটি) এর মানও বাংলাদেশের সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রধান মুদ্রার বিপরীতে BDT-এর মান কমে গেলে বাংলাদেশে সোনার দাম বাড়তে পারে।
  • মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থা: বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থাও স্বর্ণের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যখন মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, তখন সোনার দাম প্রায়ই বেড়ে যায় কারণ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে সোনাকে মূল্যের ভাণ্ডার হিসাবে দেখা হয়।
  • সরকারী নীতি: সরকারী নীতি যেমন ট্যাক্স এবং আমদানি/রপ্তানি প্রবিধানও বাংলাদেশে সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, সরকার স্বর্ণ আমদানির ওপর কর বাড়ালে বাংলাদেশে সোনার দাম বাড়তে পারে।
  • সুদের হার: বাংলাদেশেও সুদের হার স্বর্ণের দামকে প্রভাবিত করতে পারে। যখন সুদের হার কম হয়, তখন সোনা রাখার সুযোগ খরচ কমে যায়, যা সোনার চাহিদা বৃদ্ধি এবং এর দাম বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • স্বর্ণের মজুদ ও উৎপাদন: বাংলাদেশে স্বর্ণের মজুদ ও উৎপাদনের মাত্রাও দেশে স্বর্ণের দামের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সোনার মজুদের ঘাটতি হলে বা উৎপাদন কমে গেলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক কারণগুলির একটি জটিল সেট দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং এই কারণগুলির পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত ওঠানামা করতে পারে।